পাসপোর্টের নাম হোসাইন। জন্ম ফরিদপুরে ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি। কিন্তু পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইডি কার্ডে নাম লেখা রাফা। যার পুলিশ আইডি নং ইচ ৯০৩৩২৮৩৯৯০ এবং তাতে জন্ম তারিখ লেখা আছে।তিনি টাঙ্গাইলে কর্মরত টিএসআই সাহাদৎ হোসেনের ছেলে। পুলিশের ভুয়া এসআই পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে এলাকাবাসী তাকে আটক করে টাঙ্গাইল থানায় দিলেও রহস্যজনক কারনে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তার আসল নাম আসলাম আলমগীর বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রাফা গাজীপুরে পুলিশের কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত অবস্থায় চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সে টাঙ্গাইল এসে তার বাবার আইডি কার্ডে তার ছবি, পোশাকে ন্যাম প্লেট পাল্টিয়ে ও এসআই পদ ব্যবহার এবং অস্ত্র নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে আসছিল। সেই সাথে তার আইডি কার্ডটি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পোষ্ট করে। শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হয় জনতার হাতে। পরে জনতা তাকে টাঙ্গাইল মডেল থানায় সোপর্দ করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে পথ শিশু নামে একটি ভূয়া সংগঠন তৈরী করে এলাকার প্রায় ১০জন তরুনদের কাছ থেকে ২শ টাকা করে নিয়ে তাদের একটি করে গেঞ্জি দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে আরো দুই হাজার টাকা করে নেয়া হয় পথ শিশুদের সাহায্য করার জন্য। কিন্তু টাকা নেয়ার পর থেকে আর কোন খোঁজ খবর ছিল না তার। পরে ভূক্তভোগী তরুনরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এছাড়া আলমগীর হোসেন ওরফে রাফা ওরফে হোসাইন বিভিন্ন মেয়েদের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তাদের সম্ভ্রম কেরে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আর এভাবেই রাফা প্রতারনার ফাঁদে ফেলে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে। পরবর্তীতে মেয়েটি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে রাফার বাবা সাহাদৎ মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতী দেখিয়ে মীমাংশা করে ফেলে।
অভিযুক্ত রাফার বাবা টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সাহাদৎ হোসেন ঘটনার সতত্য স্বীকার করে বলেন, সন্ধ্যায় আমি টাঙ্গাইল থানায় আসলে এসআই কিবরিয়া আমাকে ডেকে নিয়ে ঘটনাটি বলে। পরে বাসায় গিয়ে ছেলেকে আমি শাসন করেছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হোসেন জানান, আমি ঘটনাটি কিছুটা শুনেছি। কিন্তু তাকে থানায় আনা হয়নি।
Leave a Reply